শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত ‘নাগরিক সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল এ সভার আয়োজন করে।
একদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। নইলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। ’
এর জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ দেশের মালিক হলো জনগণ। সেই জনগণই নির্ধারণ করবে কোন দলের নিবন্ধন থাকবে আর কোন দলের থাকবে না। যদি বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়, দেশে কোনো দলের নিবন্ধন থাকবে না। আর এ জন্য যদি কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।
তিনি বলেন, জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি এবং সেই নির্বাচনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করবে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ধরনের মামলা আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধেও ছিলো। সেগুলো হয় খালাস দেওয়া হয়েছে, অথবা তুলে নেওয়া হয়েছে-আমরা তা জানি না। শুধু শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের ৬ হাজার মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা তুলে নেওয়া তো হয়নি, বরং নতুন মামলা দেওয়া হয়েছে।
যে সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি মামলা তুলে নিতে সেই সরকারের চরিত্র কী? এ সরকার স্বৈরাচারী সরকার; ফ্যাসিবাদী সরকার। স্বৈরাচারী সরকার যে আচরণ করে, শেখ হাসিনার সরকার সেই আচরণ করছে- বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহম্মদ আজম খাঁন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ