ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

স্বার্থ‌বিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
স্বার্থ‌বিরোধী কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে তিস্তার পা‌নিচু‌ক্তি ছাড়া দেশের স্বার্থ‌বিরোধী কোনো চুক্তি হলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএন‌পির মহাসচিব ‌মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 

‌সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাধীনতা দিবসে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীসহ সারাদেশে শোভাযাত্রা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ওইদিন ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন।
 
এরপর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য ৠালি করা হবে জানান রিজভী।  
 
পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন নদীর পানি চুক্তি ছাড়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী চুক্তি হলে জনগণ মেনে নেবে না।
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসের ৮ তারিখে ভারত সফরে যাবেন। আমরা আশা করছি তিনি তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি করবেন। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো চুক্তি করলে দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
 
এ সময় তিনি বিএনপি সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, বিএনপি দেশের জন্য সব করেছে কিন্তু, কখনো দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেখতে পাই না। তার রাজনৈতিক স্বার্থে অবলীলায় মিথ্যাচার করার ফলে জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে আরও বিভক্ত হয়। দেশের মানুষের স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থে যেটা বলা উচিত, সেটাই তার (প্রধানমন্ত্রী) বলা উচিত।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আশায় ছিলাম, তিস্তার পানি অন্তত পাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পাইনি।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতীয় পত্রপত্রিকায় এসেছে, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে, তা বলা উচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে যায়, অর্থাৎ স্বার্থের সংঘাত ঘটে, এ ধরনের চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না। ’
 
এর আগে ২৬ মার্চ উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।  

এতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ সহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭/আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা
এসএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।