ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘সামরিক চুক্তির তথ্য না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
‘সামরিক চুক্তির তথ্য না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে’ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তির তথ্য না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনে জাতীয় সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  
 
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 
 
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বাংলাদেশের পত্রিকায় লেখা-লেখি হচ্ছে। ভারতের পত্রিকায় লেখা-লেখি হচ্ছে। এমনকি বিদেশি পত্রিকাতেও লেখা-লেখি হচ্ছে। সেখান থেকে আমরা জানতে পারছি, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তি হতে যাচ্ছে।  
 
কিন্তু স্পর্শকাতর এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকার জনগণকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ কারণেই বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে- বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।  
 
তিনি বলেন, তারা তো জনগণের নির্বাচিত সরকার নন। সে কারণে জনগণকে কোনো তথ্য দিতে তারা বাধ্য নন। আমাদের মনে রাখতে হবে, ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে কেউ যদি ক্ষমতা দখল করে, তাহলে তারা একের পর এক নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়।  
 
জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চলছে অভিযোগ করে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সে ধরনের নির্বাচন আর করতে পারবে না সরকার। কারণ, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষায় আছে; প্রস্তুতি নিয়ে আছে।  
 
সুতরাং কেউ যদি এমনটি ভেবে থাকেন, জনগণকে বাইরে রেখে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করবেন, তাহলে তারা ভুল করছেন। এদেশে সেটি আর সম্ভব নয়- বলেন তিনি।  
 
নির্বাচনের একটি স্থায়ী পদ্ধতি ঠিক করার আহ্বান জানিয়ে আমির খসরু বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে চির দিনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেন নির্বাচন এলেই এ নিয়ে আর কথা বলতে না হয়।  
 
তিনি বলেন, এখন তো আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবো। অথচ আমাদের কথা বলতে হচ্ছে নির্বাচনটা কোন পদ্ধতিতে হবে- সেটি নিয়ে। সুতরাং সবাই মিলে এমন একটা পদ্ধতি ঠিক করতে হবে, যেন নির্বাচনের আগে এ নিয়ে আর বসতে না হয়।  
 
নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই আইনে ভালো কিছু হবে না। বরং নাগরিক আমদানি ও রপ্তানি হবে। কেউ নাগরিকত্ব হারাবেন, কেউ আবার নাগরিকত্ব পাবেন। এটি দেশের জন্য ভালো হবে না।
 
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
 
বাংলাদেশম সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।