ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

নতজানু সরকার কিছুই আনতে পারেনি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
নতজানু সরকার কিছুই আনতে পারেনি বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: বর্তমান সরকারকে নতজানু আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের কাছ থেকে আমরা কিছুই পাইনি, কিছুই পাব না। কারণ এই সরকার নতজানু সরকার। নতজানু নীতির কারণে সরকার কিছুই আনতে পারেনি।

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহামন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আখতার হোসেন, কবি ফরহাদ মজহার, সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইলাম আলমগীর বলেন, প্রধানন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন, পানি মেলেনি তো কী হয়েছে। বিদ্যুৎ তো মিলেছে। অর্থাৎ পুরোটুকু মেলেনি, কিছু মিলেছে। তার ভাষায়-‘কুছ মিল গেয়্যা’। এখানে আমাদের আর কী বলার আছে।
 
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বার বার বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উচ্চতর পযায়ে পৌঁছেছে। অর্থাৎ সম্পর্কটা এখন মহাশূন্য পযর্ন্ত বিস্তৃত। কিন্তু আমরা তো মাটির মানুষ। আমার কোটি কোটি কৃষক পানি পাচ্ছে না, তাদের কী হবে?

পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা একবারই কেবল পেয়েছিলাম যখন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পানির জন্য জাতিসংঘে গিয়েছিলেন। তখন যেভাবেই হোক গঙ্গা চুক্তি হয়েছিলো। সেই চুক্তির ফলে আমরা পানি পেয়েছিলাম- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা/ছবি: কাশেম হারুন
বিএনপি এখন মানসিক অবষাদে ভুগছে মন্তব্য করে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনটা যদি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে না হয়ে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে হয়, বিএনপি কী তার জন্য প্রস্তুত আছে? কী করতে পেরেছে বিএনপি? গত কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো এক নেতার এক পদ। এ অনুষ্ঠানেই  অনেক নেতা আছেন যারা একাধিক পদ নিয়ে বসে আছেন।

খালেদা জিয়ার একক নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিতে হবে। দলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভেড়াতে হবে। হাফিজ-নোমানকে এখনও কেন স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া হয়নি?

বিএনপিকে বড় দলের অহমিকা ছাড়তে হবে মন্তব্য করে ডা. জাফরউল্লাহ বলেন, এখনও রাত ৯টার পর খালেদা জিয়ার যাত্রা শুরু হয়। তিনি দিনের বেলায় নেতা-কর্মীকে সময় দেন না।   তিনি যদি ড. একিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি চৌধুরী) বাড়ি যান ওনার মান ক্ষুণ্ন হবে না, ড. কামাল হোসেনের বাড়ি যান, মান ক্ষুণ্ন হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে ডা. জাফরউল্লাহ বলেন- তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি একটি কাগজ নিয়ে আসতে পারতেন, সীমান্তে আর গুলি হবে না। তার বিজয় হতো। ভারতে বিশ কোটি সংখ্যালঘু আছে। তাদের জন্য কোনো কথা বলেননি শেখ হাসিনা। সে ব্যাপারে যদি কথা বলতে পারতেন তার বিজয় হতো। কিন্তু তিনি তা বলতে পারেননি।

বালাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।