বুধবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির রূপকল্প ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে খালেদা এ বিষয়ে জানান।
এই ভিশন থেকে খালেদা তুলে ধরেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, শহীদদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। ট্রেন-বাস ও লঞ্চে তাদের অর্ধেক মূল্যে ভাড়া করে দেওয়া হবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ক্ষমতাকে কেবল নির্বাচনের দিন বা ভোট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না বিএনপি। আমরা নিত্যদিনের জনআকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দিয়ে তাদের (জনগণ) সম্পৃক্ত করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই।
রূপরেখায় আরও রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র ঠিক রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার সংস্কার ও সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা; ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সুনীতি, সুশাসন ও সুসরকারের সমন্বয় ঘটানো; গণভোট ফিরিয়ে আনা; নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ সাংবিধানিক ও আধা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা; উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইন করা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ২৫০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এজেড/আইএ