ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

বিএনপি

৩০ লাখ টাকায় বিএনপি নেতা মিঠুকে হত্যা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
৩০ লাখ টাকায় বিএনপি নেতা মিঠুকে হত্যা! খুলনা ডিআইজির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং

খুলনা: প্রবাসী এক বিএনপি নেতার অর্থায়নে খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার বিনিময়ে খুনিরা ৩০ লাখ টাকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে খুলনা ডিআইজির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রেঞ্জ ডিআইজি।

তিনি বলেন, মিঠু হত্যা মামলার আসামি ফুলতলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মার্শাল ভূইয়া আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কান্তি দালাল আসামি রিজভীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন।

এর আগে ২৮ মে মিঠু হত্যা মামলার অপর দুই আসামি শিমুল হাওলাদার ও মুশফিকুর রহমান রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন।
 
মার্শালকে সোমবার খুলনা জিলা স্কুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ পর্যন্ত মিঠু হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, মিঠু থাকলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমানের খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই মিঠুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য হাসনাত রিজভী মার্শালকে ৩০ লাখ টাকা দেন তিনি।

চুক্তি অনুযায়ী মার্শাল ৩০ লাখ টাকা নিয়ে ২০ লাখ টাকা শিমুলের হাতে দেন। বাকি ১০ লাখ টাকা অন্যান্য কাজে খরচের জন্য রেখে দেন। ২৫ মে শিমুলের নেতৃত্বেই মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের গাজীকে হত্যা করা হয় বলে জানান রেঞ্জ ডিআইজি।

তিনি আরও বলেন, মিঠু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অস্ত্রও দামোদর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তাইজুল ইসলাম রনি নামে এক আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক ও পারিবারিক কারণে মিঠু হত্যার শিকার হয়েছেন। মামলার তদন্তের কারণে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রেসব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-৬ খুলনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ, ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী প্রমুখ।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমান লন্ডনে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাংলানিউজকে বলেন, মামুন রহমানের বিরুদ্ধে ডিআইজি যে লিখিত বক্তব্য দিয়েছে তা আমরা সংগ্রহ করেছি। তাতে স্পষ্ট কিছুই নেই। তাই এ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপির একজন নেতা আরেক নেতাকে টাকা দিয়ে হত্যা করবে সে ধরনের প্রতিযোগিতা বিএনপির মধ্যে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা,  মে ২৯, ২০১৭
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।