রোববার (০৩ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
কেরাণীগঞ্জে বিএনপির ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের হামলা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় দলীয় প্রতিক্রিয়া জানাবার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্যের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাঙামাটিতে একজন যুবলীগ নেতার মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সেখানে প্রায় দুইশ’ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যুবলীগ নেতা কীভাবে নিহত হলেন, সেটা তদন্ত করে বের করার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে যারা পাহাড়িদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি আওয়ামী লীগ উভয়কে দায়ী করেছে পাহাড়ি সংগঠনগুলো- এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা কোনটা বিশ্বাস করবেন? যুবলীগ নেতা নিহত হওয়ার ফলে যখন বাড়িঘর পুড়ে যায়, সেখানে বিএনপির কী করার আছে। সেখানে বিএনপি যাবে কেন?
এ বিষয়টি আপনারাও একটু তদন্ত করে দেখুন। তবে আমরা দু’টি ঘটনারই নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সেখানে যুবলীগ নেতার মরদেহ এভাবে পাওয়া গেল কেন? একই সঙ্গে পাহাড়িদের বাড়িঘর পোড়ানো হল কেন?
কেরাণীগঞ্জে বিএনপির ইফতার পার্টিতে হামলা ও আমান উল্লাহ আমানের বাড়ি ভাংচুর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমান সামান্য লোক নন। তিনি ডাকসুর ভিপি ছিলেন। কেরাণীগঞ্জ থেকে চার বার এমপি নির্বাচিতে হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। তার উপস্থিতিতে বিএনপির ইফতার পার্টিতে হামলা হয়েছে।
সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় বিরোধী দলের কোনো নেতা-কর্মী এখন আর নিরাপদ নয়। আমরা মনে করে সরকারি দলের লোকজনের এ ধরনের কাজ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণ হচ্ছে দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শাম্মি আক্তার, মোরতাজুল করিম বাদরু, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এজেড/এসএইচ