ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

বিএনপি

করের বোঝায় ব্যাপক চুরির সুযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৭
করের বোঝায় ব্যাপক চুরির সুযোগ ইফতার মাহফিল খালেদা জিয়া/ছবি: রানা

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে জনগণের উপর করের বোঝা বাড়িয়ে ব্যাপক চুরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

শনিবার (০৩ জুন) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধারা’র(আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন। দলের নেতাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করেন খালেদা জিয়া।


 
ইফতারের আগে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে আজ এতো সমস্যা। তার উপর আবার বাজেট দিয়েছে। এ বাজেটে যে হারে কর বসানো হয়েছে তাতে জিনিস-পত্রের দাম আরো বাড়বে এবং এখানে দুর্নীতি করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
এদিন দ্বিতীয় বারের মতো বাজেট নিয়ে কথা বললেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বাজেট ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ইফতার মাহফিলে তিনি বলেছিলেন, ‘এ বাজেট লুটপাটের বাজেট। আওয়ামী লীগের চুরির বাজেট’।
 
সরকার মানুষের ঘাড়ের উপর চড়ে বসেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আবার নাকি গ্যাসের দাম বাড়াবে। যেখানে খাবার কেনার মতো পয়সা মানুষের নেই, সেখানে প্রতিটি জিনিসের দাম যদি আবার বাড়িয়ে দেয়, তাহলে দেশবাসী বাঁচবে কী করে?
 
এই সরকার হল জনগণ বিরোধী সরকার। এ সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সেই জন্য এই সরকার জনগণের সমস্যা, কষ্ট, জনগণের দু:খ-এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। তাই আজকে দেশে সত্যিকারে জনগণের সরকার প্রয়োজন- বলেন তিনি।
 
দেশের সব টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে সরকারের বড় বড় লোক জড়িত। সেই জন্য তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অথচা সাধারণ নিরীহ মানুষ ও বিএনপির নেতা-কর্মী হলেই তাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে, দুদকের মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
 
তাই আমি বলব, এই জুলুম বন্ধ করুন, অন্যায় বন্ধ করুন, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ দিন। আর গণতন্ত্র তখনই ফিরে আসতে পারবে, যখন সত্যিকারে দেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান করব, এই সরকার আপনাদের কাছে যা কিছু আবদার করবে, আপনারা তা বাস্তবায়ন করবেন না।
 
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা জনগণ ও রাজনৈতিক দলের মতামত নেবেন এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আমরা দেশে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে, তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কী না?
 
আজকে তারা ভয় পায় জনগণকে, ভয় পায় নির্বাচনকে। তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কোনো দিন তারা জিততে পারবে না। সে জন্যই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না। কিন্তু নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে জনগণ অংশ গ্রহণ করবে না। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে এ দেশের মানুষ অংশ গ্রহণ করে কোনো সুফল পাবে না।
 
তিনি বলেন, সেই জন্য আমি বলব, এই সরকার গণবিরোধী সরকার। এই সরকারকে বিতারিত করা কেবল বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের দায়িত্ব। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে বিতারিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাই।
 
ইফতার মাহফিলে অংশ নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টা মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, মীর মোহম্মদ নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আ ন হ আখতার হুসেন, সঞ্জিব চৌধুরী, সুকোমল বড়ুয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, সুলতানা আহমেদ, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।