ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

চলতি বছরেই দল গোছানো শেষ করবে বিএনপি

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
 চলতি বছরেই দল গোছানো শেষ করবে বিএনপি

ঢাকা: চলতি বছরেই দল গোছানোর কাজ শেষ করে ২০১৮ সালকে নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য রেখে দিতে চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে আগামী বছরের জন্য সাংগঠনিক কোনো কাজ বকেয়া রাখতে চায় না রাজপথের প্রধান বিরোধী দলটি। 

সূত্রমতে, চলতি বছরের বাকি ৫ মাসের মধ্যে সাংগঠনিক কাজ গুছিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে চায় বিএনপি। সংগঠনকে দুর্বল বা অগোছালো রেখে প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচন করে খুব একটা সুবিধা করা যাবে না- এমন ভাবনা দলটির নীতি-নির্ধারকদের।


 
তাদের মতে, দাবি আদায়ে যদি আন্দোলনে নামতেই হয়- তখন অগোছালো বা অসংগঠিত দল দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না বিএনপির পক্ষে। তাই আগামী বছরটিকে সংগঠন গোছানোর কাজে আর ব্যয় করতে চান না তারা।  
বিএনপির কয়েকজন শীর্ষনেতা ও নীতি-নির্ধারক বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সাংগঠনিক কাজ মোটামুটি শেষ করে এনেছেন তারা। গত বছরের মার্চের জাতীয় কাউন্সিলের পর কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করেছেন। ওয়ার্ড, থানা, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের কাজও প্রায় শেষ হয়েছে।  
 
প্রধান তিনটি অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলাদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তিন অঙ্গ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ‘খসড়া’ এখন চেয়ারপারসনের টেবিলে। লন্ডন থেকে ফেরার পর যাচাই-বাছাই শেষে কমিটি ঘোষণা করবেন তিনি।
 
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদল, ওলামাদল, তাঁতীদল ও কৃষকদলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রমিকদল ও ছাত্রদল- এ দু’টি সহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠনের বিষয়েও আন্তরিক রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।  
 
দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে গত ০১ জুলাই নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। এখন সারা দেশে এ কর্মসূচি অব্যহত রয়েছে।  
 
সূত্রমতে, লন্ডন যাওয়ার প্রাক্কালে গত ১৩ জুলাই দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যতো দ্রুত সম্ভব সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি শেষ করার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজও ত্বরিৎ গতিতে শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।  
 
দেশে ফিরে দল পুনর্গঠন নিয়ে আর ভাবতে চান না খালেদা জিয়া। বরং নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণার পর গণসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে তার।  
 
বিএনপির চেয়ারপারসনের এ পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। খালেদা জিয়া লন্ডন যাওয়ার পর এরই মধ্যে মির্জা ফখরুল খুলনা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।  
 
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিবরাও জেলায় জেলায় গিয়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করে আসছেন।  
 
তৃণমূল পুনর্গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, বেশিরভাগ জেলার কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। যে ক’টি জেলা বাকি আছে, সেগুলো আগামী অক্টোবর নাগাদ পুনর্গঠিত হয়ে যাবে। এ বছরের মধ্যেই সাংগঠনিক কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।  
 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে সংগঠন গোছানোর পেছনে আমরা প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। আগামী ৪/৫ মাসও আমরা এ কাজ করবো। আগামী বছরের জন্য সংগঠন গোছানোর কাজ আর ফেলে রাখতে চাই না। আগামী বছর হবে নির্বাচন ও আন্দোলনের বছর’।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।