বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহারের আদালতে আজাদ আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাকে হাজিরার শর্তে জামিন দেন।
আজাদের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বরের।
তাছাড়া বিবাদী এখন নিজেও অসুস্থ। এসব কারণে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩১ জন ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, ‘আড়াইহাজারে যে হত্যা মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছিলো সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলত আমাকে তথা নজরুল ইসলাম আজাদকে ঠেকাতেই প্রতিহিংসা বশত সেখানকার সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নির্দেশে পুলিশ আমাকে, আমার ছোট ভাইসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করান।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের লোকজন। ওই সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আমজাদ মারা যান। পরে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে বিএনপির কর্মী সজীবকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির বর্তমান সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, তার ছোট রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবুসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবাই নজরুল ইসলামের সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
জিপি