সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পাঠানো যৌথ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, খানাখন্দকে ভরা সিলেটের প্রায় সব সড়কে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরকার দুর্নীতি ও লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হলেও রাস্তা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ জেলা বিএনপির নেতারা। বিবৃতিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এবং সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কসহ সব ভাঙা সড়ক সংস্কার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
কয়েক দফা বন্যায় সিলেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি সর্বস্ব হারানো কৃষকদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলা হয়, কৃষকরা যখনই ফসল উৎপাদনে উদ্যোগি হয়েছেন, তখনই অকাল বন্যায় তাদের বীজ তলা পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ফসল উৎপাদনে উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ ধান ক্ষেতে পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ফলে পুনরায় হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসল। এই মুহুর্তে এই ফসল রক্ষায় পোকামাকড় দমনকারী ওষুধের প্রয়োজন।
এছাড়াও দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে বিনা সুদে কৃষি ঋৃণ বিতরণ করারা দাবি জানানো হয়। বলা হয়, কৃষকরা বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। ফলে সরকারকে কৃষকদের বৃহত্তর কল্যাণে বিনাসুদে কৃষি ঋণ, বিনামূল্যে বীজ, সার ও পোকা দমনকারী ওষুধ বিতরণের আহ্বান জানান।
জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল হকের পাঠানো বিবৃতির সত্যতা স্বীকার করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা আর কখনো হয়নি। বিশেষ করে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এবং দক্ষিণ সুরমার সিলাম, জালালপুর রাস্তায় কেউ গেলে সুস্থ থাকার কথা নয়। রাস্তার এতো বেহাল দশা কখনো হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভাঙা রাস্তাঘাট সংস্কার দাবিতে পরবর্তীতে আরো জোরালো ভূমিকা নেওয়া হবে বলেও জানান সিলেট জেলা বিএনপির এই নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এনইউ/জিপি