ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

বিএনপি

সরকারকে ‘কূটনৈতিক এতিম’ বললেন খন্দকার মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
সরকারকে ‘কূটনৈতিক এতিম’ বললেন খন্দকার মোশাররফ স্মরণ সভার অতিথি মঞ্চে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অতিথিরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সরকার ‘কূটনৈতিকভাবে এতিম’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র  প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।


 
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে জনগণের সরকার থাকলে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড এমনভাবে করতো যে, মিয়ানমার সরকার বাধ্য হতো রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে। কিন্তু এ সরকার যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, সেহেতু এ সরকারকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। আন্তর্জাতিক মহলে এ সরকারের কোনো গুরুত্ব নেই। ফলে সরকার কূটনৈতিকভাবে এতিম হয়ে পড়েছে।
 
বাংলাদেশ সঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে এতো বড় গণহত্যা চালানো সম্ভব হতো না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।  
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার সরকার জোর করে এ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। সরকার যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতো, তাহলে এই সংকট এতো তীব্র হতো না।
 
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য করতে হবে। সেটি করতে হবে মিয়ানমারকে বয়কটের রেজ্যুলেশন গ্রহণ, সহযোগিতা ও  ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করার মাধ্যমে—বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  
 
বিএনপি রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোনে’ বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্ণ নাগরিক মযার্দা দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে। সেফ জোন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটি বরং তাদের জন্য আরও ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে।  
 
বিচার বিভাগ ও সংসদকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করানো হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, রাষ্ট্রের যে তিনটি স্তম্ভ, তা আজ মুখোমুখি অবস্থানে। জনগণের সরকার থাকলে আজ এ অবস্থা হতো না।  
 
হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।