শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলন। রোহিঙ্গা সমস্যার জরুরি সমাধান এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্যের মতবিনিময়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, নিরীহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। মিয়ানমার কখনো মাথা নিচু করবে না। তাই সবাইকে নিয়ে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। কূটনৈতিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অন্য কোনো দেশ নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমরা এটাও চাই না, আমাদের অভ্যন্তরে অন্য কেউ নাক গলাবে। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এসেছে। অথচ সরকার নিন্দাও জানায়নি। এটাকে আগ্রাসন মনে করতে হবে।
জনগণ গণতান্ত্রিক সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী এ সরকারের গত ৮ বছরের নির্যাতনের কারণে আমরা বহু ত্যাগ শিকার করেছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এখনো সরে যাইনি। বাংলাদেশে তো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এমন সমস্যা হতো না। একটা গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো সমস্যাই থাকতো না।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের এক উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। এরপর এ সংকট কোন দিকে মোড় নেবে আমরা সহজে বলতে পারি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা জামাল হায়দার, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জেবেল রহমান গানি, জাহানারা পারভীন, মাওলানা আবদুর রব, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আহাম্মদ আবদুল কাদের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
এএম/এইচএ/