ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘সরকার বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
‘সরকার বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে’ নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আলোচনায় বক্তারা/ ছবি: শাকিল

ঢাকা: যে প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘সুশাসন ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত দুই তারিখে প্রধান বিচারপতি ছুটিতে গেলেন।

এর আগেও তিনি এক মাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন। তখন তার ছুটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোনো ধরনের কথা ওঠেনি। কারণ সেই ছুটি ছিলো যথারীতি এবং তার নিজের ইচ্ছায়। সেই ছুটির দরখাস্ত রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন কি করেন নি সেটা কিন্তু পত্র পত্রিকায় আসেনি। কারণ এটা একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নিজের ছুটি তিনি নিজেই নেন এবং বঙ্গভবনের রেজিস্টার কর্তৃক অনুমোধিত হয়। ছুটিকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ দেন এবং অনুমোদন করেন। কিন্তু এবার যখন তিনি ছুটি নিলেন তখন তার ছুটির বিষয়টি আইনমন্ত্রী ও এটর্নি জেনারেল জানালেন। এটাতো তাদের কাজ নয়। যে প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ছুটি দেয়া হয়েছে তার মাধ্যমে সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার প্রয়োজন। সংবিধানকে যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় এবং আইনের শাসন যদি প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাহলে সেখানে সুশাসন থাকে। আইনের শাসন নিশ্চিত করে স্বাধীন বিচার বিভাগ। স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না, সেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি আইনের শাসনের তোয়াক্কা করে না।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব একেএম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ নাজিমুদ্দিন মাস্টার, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।