সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর হঠাৎ করে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপাচার, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ দাখিল হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ পেয়েই থাকেন, তিনি কেন সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের প্রয়োগ করলেন না? নিয়ম হলো, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে অভিযোগগুলো রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের জুডিশিয়াল বিভাগে তদন্তের জন্য পাঠাবেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অপসারণ করবেন। আর প্রমাণ না হলে তাকে স্বপদে বহাল রাখবেন।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, ওই দিন এটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি ফিরে এসে দায়িত্ব নেওয়া সুদূর পরাহত। ’ গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি স্বপদে বসতে পারবেন না। ’ আবার গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলসহ কোর্ট প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনের রদবদল কেবল প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। তাহলে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনও বেআইনি। সুতরাং আদালত পাড়ায় যা ঘটছে তা হচ্ছে সরকার প্রধানের একক কর্তৃত্বে বিচার বিভাগকে অধীনস্ত করার আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এএম/এমজেএফ