গত ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। হাজির না হওয়ায় এ সময়ের মধ্যে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লা ও ঢাকার তিনটি আদালত।
এর মধ্যে গত ০৯ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নোয়াবাজার এলাকায় বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যার মামলায় কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন বেগমের আদালত এবং ১২ অক্টোবর মানহানির মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নূর নবীর আদালত ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার দুই আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে খালেদার জামিনের আবেদন জানানোর কথা জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকার পথে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি বুধবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মেতেছেন বিএনপির দলটির উচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। চেয়ারপারসনকে বরণ করতে বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত ব্যাপক সংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি।
দলটির নেতারা বলছেন, ‘খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে শঙ্কিত নয় বিএনপি। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত তারা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। তাকে সংবর্ধনা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এএম/এএসআর
** খালেদাকে পুলিশ দিয়ে ধরে আনতে হবে, এমন নয়: আইজিপি