উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) নুরুল আমিন অভিযোগ করেন, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নেতাকর্মীরা সংবর্ধনা দিতে মহাসড়কে অবস্থান নিলে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে সরকারি দলের কর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলমগীরের ওপর তার বাড়ির সামনে হামলা করে এবং তাকে হাসাপাতালে নিতেও বাধা দেন বলেও ) অভিযোগ করেন নুরুল আমিন ।
হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.আলমগীর, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম,বারইয়ারহাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রানা, করেরহাট ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. মামুন, উপজেলা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ, ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেনসহ কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী।
এদিকে, নয়দুয়ার, ডাকঘর, মিরসরাই পৌর সদর ও বারইয়ারহাট এলাকায়ও বিএনপি নেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে লাগানো ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট থেকে বড়দারোগাহাট পর্যন্ত অবস্থান নেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব সালাহ উদ্দিন সেলিম, বারইয়ারহাট পৌরসভার আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন প্রমুখ।
তবে উপজেলার ছাত্রলীগ এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়নি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে থাকলে এটি তাদের দলীয় অর্ন্তকোন্দলের কারণে ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা সদর, বারইয়ারহাট পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসইচডি/জিপি/এসআইএস