বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেনী বড় বাজারস্থ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিক্ষিপ্ত তথ্য প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজনে অবব্যবস্থাপনার কারণে বিএনপি নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয় বলে জানান সাংবাদিক নেতারা।
সাংবাদিকরা জানান, সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসার চেয়ারও দিতে পারেনি বিএনপি। গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতারা বিভিন্ন মিডিয়ার বরাত দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও তারা কারও নাম উল্লেখ করতে পারেনি। নাম উল্লেখ না করায় ও এ ঘটনায় কোনো কর্মসূচি পালন না করায় আওয়ামী লীগের সাথে ফেনী জেলা বিএনপির আঁতাতের বিষয়ে প্রশ্ন করলেও এ ব্যাপারে সদোত্তর দিতে পারেননি বিএনপি নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার যাওয়ার পথে এবং ফেরার পথে গাড়ি বহরে হামলা করেছেন জেলা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনা ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিকল্পিত।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বুধবার সকালে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকে এতে তারা হামলার কারণ হিসেবে জেলা বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেন।
বিএনপি নেতা আবু তাহের বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের এ বক্তব্য পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। প্রকৃত পক্ষে ফেনী জেলা বিএনপির মধ্যে কোনো ধরনের কোন্দল নেই।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রহসনমূলক একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ভিপি ও রেহানা আক্তার রানুর সমর্থকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা ডাহা মিথ্যা বৈ আর কিছু নয়।
অ্যাডভোকেট তাহের লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করলেও গ্রেফতার করা হয়েছে নিরীহ ৬ জন ব্যক্তিকে, যারা ঘটনার সাথে জড়িত নন।
ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন (ভিপি), রেহানা আক্তার রানু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেদ, ফেনী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাউল হক, ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলালসহ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এসএইচডি/এমজেএফ