তিনি বলেছেন, 'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে কোনো দুর্নীতি করিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৬ষ্ঠ দিনের মতো বক্তব্য শেষে বিচারকের প্রশ্নের জনাবে তিনি এ কথা বলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালত চলমান বক্তব্যের পরবর্তী শুনানি ধার্য করেন আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)।
এই শুনানির দিন ধার্যের আগে বিচারক জিয়া চ্যারিটেবল মামলার অভিযোগ পড়ে শোনালে খালেদা জিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
বিচারক জানতে চান, এই মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে আপনি দোষী না নির্দোষ? খালেদা জিয়া বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এরপর বিচারক বলেন, আপনি কোনো কাগজপত্র দাখিল করবেন কিনা? খালেদা জিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দাখিল করবো।
বক্তব্য দেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে বক্তব্য উপস্থাপন করবো।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ মামলার সকল সাক্ষ্য ভিত্তিহীন, তদন্ত কর্মকর্তা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশের বহি:প্রকাশ স্বরূপ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, যার কোন দালিলিক প্রমাণ নেই।
খালেদা জিয়া বলেন, এই মামলায় দু'জন ব্যক্তি দুটি তদন্ত করেছেন। কিন্ত ভাষা পর্যালোচনা করলে দুটির বক্তব্য এক। তাতে প্রমাণ হয়, এ রিপোর্টের তদন্ত সাজানো, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ সময় তিনি আদালতকে বলেন, হারুন আল রশিদের নিয়োগ অবৈধ। তার জবানবন্দি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তহবিলের টাকা লেনদেনের কোনো ফাইলে আমার স্বাক্ষর নাই। সাক্ষী হারুন অর রশিদ নিরপেক্ষ অনুসন্ধান না করে একটি মহল কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, হারুন আল রশিদ সম্পূর্ণরূপে ইন্টারেস্টেড সাক্ষী, অতি উৎসাহী, আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ। তিনি নিরপেক্ষ কোনো অনুসন্ধান করেন নাই, নিরপেক্ষ কোনো তদন্তও করেন নাই। তিনি একাধারে বাদী, সাক্ষী ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
আমি জড়িত ছিলাম- এমন কোনো সাক্ষ্য রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা কেউ দেন নাই। তহবিল দুটির যাবতীয় তথ্যাদি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা তা প্রমাণ করেছেন। এ বিষয়ে দায়িত্বপালনে আমার কোনো ব্যত্যয় ঘটে নাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩
এএম/জেডএম