বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান দাবি করেন, খালেদার বিরুদ্ধে তৎকালীন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় যে চার্জ গঠন করেছিলেন তা বিধিসম্মত হয়নি।
রেজ্জাক খান বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কোন দেশ কোন জাতি যদি ভুলে যায় তাহলে সে জাতির সব অর্জন মুছে যাবে।
এরপর খালেদার বিরুদ্ধে করা চার্জ আদালতে পড়ে শোনান তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সময় আইনের সকল বিধি যথাযথভাবে পালিত হয়নি। তিনি কিভাবে এ মামলায় সম্পৃক্ত হলেন তার কোন বর্ণনা চার্জে নাই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও সুনির্দিষ্ট নয়।
এরপর বিভিন্ন আইনকানুন আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন তিনি। বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১:৩৫ মিনিট পর্যন্ত যুক্তিতর্ক শুনানি করে বাকি শুনানির জন্য সময় চান তিনি।
পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান আংশিক যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার জামিন বর্ধিত করেন।
আগের দিন মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কৌসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল তার যুক্তিতর্কে খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমআই/জেডএম