বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলে মহানগর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাইছে আওয়ামী লীগ সরকার।
খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে দলের নেতাকর্মীদের মামলা জেল ও গুম করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবেনা। তাই তারা লাখ লাখ মামলা দিয়ে রাখছে, যা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কিন্তু এতে করে বিএনপির জনসমর্থন আরো বেড়েছে।
২০১৪ আর ২০১৮ এক নয় জানিয়ে খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো ২০১৮ সালের নির্বাচন হবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে থাকারও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনের লড়াই সংগ্রামে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান খন্দকার মোশারফ ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুবুল হক নান্নু জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তর জেলা বিএনপি সভাপতি মেজবাউদ্দন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
অপরদিকে বিকেলে একইস্থানে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি কর্মী সভার আয়োজন করে। সেখানও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএস/এএটি