বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বর্তমার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদ।
গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার সামর্থ্যও যেমন নেই আবার বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করার সৎ সাহসও নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবা না এটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। যেহেতু বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাই জনগণ যাতে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে এমন নির্বাচন আদায় করাই হলো আমাদের দায়িত্ব বিএনপির কাজ।
তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ। তারাই সিদ্ধান্ত নিবে আগামী দিনে আমাদের কি করতে হবে। জনগণের আকাঙ্খার মেটাতে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের সব করতে হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণ এখন আশঙ্কার মধ্যে আছে, আগামীতে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না। শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন হলে জনগণ আশঙ্কা মুক্ত হবে না। তারা ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তাহলে আমরা ভোট কেন্দ্রে কাকে নিয়ে যাবো? কেন যেনে শুনে বিষপান করিবো? সে কারণেই বিএনপি ভোটে গেলো কি গেলো না এটা এখন প্রশ্ন না। জনগণের ভোটের অধিকার কিভাবে আদায় করা যায় সেটাই হলো বিএনপির আসল কাজ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমএসি/জিপি