তিনি বলেছেন, তবে খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র শব্দ দু’টি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। যেখানেই খালেদা জিয়া সেখানেই গণতন্ত্র।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া একটি দেশ চলতে পারে না। সুতরাং খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এই দেশের জনগণের জন্য অপরিহার্য। এ কারণেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক যদি শেখ হাসিনা তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চান, তাহলে জনগণই তার দায়িত্ব নেবে। তার জবাব শেখ হাসিনা পাবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।
আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র আরো বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি সরকারকে বলে দিতে চাই, কিছু মানুষ আছে যাদেরকে অল্প কিছুদিন ভয় দেখিয়ে চুপ রাখা যায়। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ তার জবাব দেবে।
আরাফাত রহমান কোকো’র বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে আমি খুব ছোট থেকে দেখেছি, খুব ঠাণ্ডা স্বাভাবের ছিলো। খেলাধুলা পছন্দ করতো। সেও ষড়যন্ত্রের শিকার।
আলোচনা সভায় আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এতে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসআইজে/জেডএস