বৈঠকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরিক দলের এক নেতা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত পৌনে ১১টায় শেষ হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের বেশিরভাগ সময় মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে ছাড়া ২০ দলীয় জোটের কোনো শরিক দল অংশ নিবে না বলে একমত হন জোটের নেতারা। এমনকি তারা আগামী দিনের ডাকা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে, সরকার কোনো ষড়যন্ত্র করে রক্ষা পাবে না’।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, জোট নেতারা মনে করেন যে, আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। যার ধারাবাহিতকায় মামলার রায়কে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে খালেদা জিয়ার আহবানে জোটের সবাই সাড়া দেবেন বলে একমত হয়েছেন নেতারা।
এসময় বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খন্দকার গোলাম মর্তুজা (এনডিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গাণি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এএম/টিএ