শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় একথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আশা করছি এই সভা সফল হবে।
‘দেশবাসী বোকা নয়। তারা বোঝেন কোন পরিস্থিতিতে এই সভা আয়োজন করতে হয়েছে। প্রথমে ভেন্যু সংকট তৈরি করা হয়েছিল। পরে শুরু হয়েছে গণগ্রেফতার। এটা কাম্য হতে পারে না। ’
বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, গত কয়েকদিন কেন্দ্র ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশে ধরপাকড় করে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যখন যেখানে যাকে খুশি তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি অনেককে বিভিন্নভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ আমরা করে যাবো।
এতো তাড়াহুড়ো কি রায় কেন্দ্র করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সারাদেশের মানুষ জানে, তাদের প্রশ্ন করলে উত্তর পেয়ে যাবেন। হঠাৎ করে এদেশে যে গণতান্ত্রিক সংকট তৈরি হয়েছে তা সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হামলা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের কাউন্সিল থেকে শুরু করে প্রতিটি সভা-সমাবেশেও বাধা দিয়েছে সরকার। এদিক থেকে আমদের নির্বাহী কমিটির সভা তাড়াহুড়ো করে করতে হচ্ছে।
মঈন খান বলেন, শুরু থেকেই আমাদের এই সভা করতে সরকার বাধা দিয়ে আসছে। আমরা প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চেয়েছিলাম, ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশন, মহানগর নাট্যমঞ্চ ও বসুন্ধরার রাজদর্শন হলে বুকিংও দিয়েছিলাম। কিন্তু সবখানেই সরকার বাধার সৃষ্টি করেছে। এটা তো আমাদের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার।
একটা রাজনৈতিক দল সভা করবে সেটা তো তাদের অধিকার। এটা তো কোনো জনসভা নয়। এটা নির্বাহী পরিষদের একটি সাংগঠনিক সভা। এ সভা যদি আমরা না করতে পারি তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আজ কোথায়।
তবুও সভা সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
আরএম/এমইউএম/এএম/পিএম/এসআইজে/এএ