দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিলেট আগমন সফলের লক্ষে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে এসব কথা বলেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন।
তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিকেল ৩টায় সড়ক পথে সিলেট আসবেন।
বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) ও বিকেল সাড়ে ৪টায় হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন এবং সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সিলেট আগমনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী ও সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই আগমন সিলেট বিভাগের বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে আরো সুসংগঠিত করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক স্বৈরাচারী সরকারের কবলে নিপাতিত। খালেদা জিয়ার আগমনে বার্তা জনসাধারণকে জানানোর উদ্দেশ্যে মাইকিং করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ প্রশাসন। মাইকিং করতে না দেওয়ায় নিন্দা জানান বিএনপির নেতারা।
চেয়ারপারসনের সিলেট আগমন সফর করতে নেতাকর্মীরা যখন ব্যস্ত, তখন মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশি তল্লাশির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, খালেদা জিয়ার এ আগমন কোনো নির্বাচনী সফর নয়। স্রেফ মাজার জিয়ারত।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে, নির্বাচন চাই। নির্বাচন করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে একটি রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেত্রীর আগমনে আমরা প্রচারাভিযান করতে পারিনি, সমাবেশ করতে পারিনি। এরপরও ষোল কোটি মানুষের নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার সিলেট সফর সফলে মানুষের ঢল নামবে বলে আশাবাদী তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খোন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জাসাস কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলাল খান, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, যুবদল নেতা আব্দুল মন্নান, কামরুল হুদা জায়গীরদার, ইসতিয়াক সিদ্দিকী, সৈয়দ মইনুদ্দিন সুহেল, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, কয়েস লোদী, মিফতা সিদ্দিকী, আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, শাহজামান নুরুল হুদা, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, এমদাদ হোসেন, সাঈদ আহমদ, কামরুল হাসান শাহিন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এনইউ/এএটি