কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভিআইপি কক্ষ ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সাফ করা হয়েছে। খালেদা ছাড়াও আরও ভিআইপি মহিলা বন্দি আসতে পারেন এমন ধারণায় কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ডিভিশন সেলটিও প্রস্তুত করা হয়েছে।
অন্যদিকে তিন-চার দিন আগে থেকেই পুরনো কারাগারের মহিলা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু হয়েছে। দেয়ালে দেওয়া হয়েছে হালকা রং। একটি বাথরুমও তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে লাইট ও ফ্যান। নতুন একটি খাটও যুক্ত করা হয়েছে সেই ওয়ার্ডে।
পুরনো কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডটি তিনতলা। নিচতলায় রাখা হতো কয়েদি ও বাচ্চাসহ মায়েদের। দোতলায় ডে-কেয়ার সেন্টার। তিনতলায় তিনটি কক্ষ রয়েছে—এর একটিতে পার্লার, একটিতে টেইলার্স এবং অন্যটিতে মহিলা ভিআইপি বন্দিদের রাখা হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা সূত্র আরও জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের আগে ভবনটির তিনতলায় মহিলা ভিআইপি বন্দিদের রাখা হতো। মহিলা ওয়ার্ডে ভিআইপি বন্দি থাকার মতো সুযোগ-সুবিধা আছে।
খালেদা জিয়ার সাজা হলে তাকে কারাগারের যে ভবনটিতে রাখা হতে পারে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একজন পুরুষ ডেপুটি জেলার ও আরেকজন নারী ডেপুটি জেলারের নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন কারারক্ষীরা। বাইরে থাকবে পুলিশ ও র্যাবের পাহারা।
মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে তাকে কোথায় রাখা সুবিধাজনক হবে তা নিয়ে কয়েক দিন আগেই কারা কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা বৈঠক করেছে। ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে খালেদা জিয়াকে আদালতের কাছাকাছি রাখা যায় এমন স্থাপনা চিহ্নিত করতে। এ কারণে কারা কর্তৃপক্ষ নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডটিকে উপযুক্ত মনে করে সেটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কাশিমপুরের মহিলা কারাগার ও নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারই শুধু নয়, গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় ও বাসভবন, সংসদ ভবনের পাশে যে বাড়িটিতে এক-এগারোর পর খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছিল সেই বাড়ি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের একটি কক্ষও প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে।
রায়সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেখানে রাখার বিষয়ে নির্দেশ দেবে সেখানেই রাখা হবে খালেদা জিয়াকে। এখন প্রতীক্ষা আদালতের রায় ও সরকারের আদেশের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমজেএফ