খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়ি ফিরোজা এখন ফাঁকা। ভেতরে চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) কয়েকজন সদস্য অবস্থান করলেও দলীয় কোনো নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে ৭৯ নম্বর রোডের মুখে ২০ জনের মতো পুলিশকে দেখা যায়। এর আগে সকাল ৭টা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় বাড়ির সামনে। তবে রায় শুনতে খালেদা আদালতে রওনা হওয়ার পর তারা চলে যান।
সকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি বহর নিয়ে খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় ওই দুই নেতাও তার সঙ্গে চলে যান।
বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে খালেদাবিহীন গাড়ি বহর ফিরে আসে ফিরোজায়। তিনটি গাড়ি বাড়ির ভেতরে রাখা হলেও বাকিগুলো অন্যত্র চলে যায়। একটি গাড়িতে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর অব. সরোয়ারকে যেতে দেখা যায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বাড়ির সামনে দলীয় কোনো নেতাকর্মী বা খালেদা জিয়ার কোনো আত্মীয়-স্বজনকে আসতে দেখা যায়নি।
এদিকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। গেটের বাইরে কোনো নিরাপত্তাকর্মীকেও দেখা যায়নি। ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ভেতরে কেউ অবস্থান করছেন কি-না তা জানা যায়নি। কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার সব লাইট বন্ধ দেখা যায়।
৮৬ নম্বর রোডের উত্তর ও দক্ষিণ মাথায় সে সময়ও অবস্থান করছিলেন বেশ কিছু পুলিশ সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস