শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। তবে মিছিলে দেখা যায়নি আশানুরূপ লোক সমাগম।
খালেদার মুক্তি দাবিতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলে মহাসচিব ছাড়াও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ অন্য নেতারা অংশ নেন।
সরেজমিনে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে দেখা যায়, জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীরা মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিছিল শুরু করেন। এসময় গেটের সামনে অল্পসংখ্যক পুলিশ থাকলেও তারা কোনো বাধা দেয়নি।
কয়েকশ নেতাকর্মীর মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে স্লোগান দিলে অফিসের উপর থেকে রিজভীসহ অন্য নেতারা হাত নেড়ে স্বাগত জানান।
মিছিলে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ অংশ নেন।
রফিক সিকদার বাংলানিউজকে জানান, দৈনিক বাংলা মোড়সহ কয়েকটি স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছিল। তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আমরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছি। এতে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৩০-৫০ জন নেতাকর্মী মিছিল করে ৫ মিনিটের মতো অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলকারীরা কাকরাইলের দিকে চলে যায়। তবে মিছিল থেকে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমান গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমরা সহযোগিতা করেছি।
আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এএম/পিএম/এএ