শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার পর কারাগারা এলাকা থেকে তারা চলে যান। এ তিন আইনজীবী হলেন-ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে কারাফটকে এসে আবেদনটি দেওয়ার জন্য জেলারের দেখা পেতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই তিন আইনজীবী। কিন্তু প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর দায়িত্বরত পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কারা অধিদফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তখন ওই তিন আইনজীবী কারাফটক থেকে অদূরে অধিদফতরে হেঁটে যান। কিন্তু সেখানেও সোয়া ঘণ্টার বেশি সময় তারা ঘোরাঘুরি করে আবেদনটি জমা দিতে ব্যর্থ হন।
ফিরে যাওয়ার আগে আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৬টা ৩৫ মিনিটে এখানে আসি। দুই ঘণ্টা সাত মিনিট ঘোরাঘুরি করলেও তারা আমাদের কাছ থেকে আবেদনটি নেয়নি। আমরা জানি না, কারা কর্তৃপক্ষ কেন এ কাগজ নিলো না। তাদের তো ২৪ ঘণ্টা ডিউটি থাকে। হয়তো তারা ভয় পেয়েছে, কী না কী আছে আবেদনে। মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় সংসদ নেতা, তার স্বামী প্রয়াত জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি। তার বয়স হয়েছে। হাঁটুতে দুইবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেজন্য তার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে প্রতিদিনই মেডিকেল চেকআপ করতে হয়। তাই খালেদা জিয়ার জন্য পেশাদার ডাক্তার বা সহকারী রাখার আবেদন করা হয়েছে এই কাগজে। বলা হয়েছে তার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রেশরুমের ব্যবস্থা করার কথা। তার সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী তাকে যেন কারাগারে ডিভিশন প্রোভাইড করা হয়, সে আবেদনও রয়েছে এই কাগজে।
খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, আজ যেহেতু আমাদের আবেদনটি নেয়নি, আগামীকালও (শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি) এটি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের। রায় ঘোষণার পরই খালেদাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে দেখে যান তার বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভি এস্কান্দার। তারা ৪৫-৫০ মিনিটের মতো খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।
বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার জন্য ফল নিয়ে দেখা করতে আসেন তার নারী কর্মী-সমর্থকরা। একটি ফলের ডালায় সাজিয়ে খালেদার পছন্দের ফল পেঁপে, আম, আপেল, কমলা, বেদানা, আঙুর, কলা, নাসপাতি নিয়ে আসেন দুই নারী সমর্থক। কিন্তু নিয়ম না মেনে আসায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসজেএ/এইচএ/
** খালেদার অবস্থানের বিষয়ে আবেদন নিয়ে কারাফটকে ৩ আইনজীবী
** কারাগারে খালেদাকে দেখে এলেন ভাই-বোনেরা
** খালেদাকে দেখতে কারাগারে ঢুকলেন ভাই-বোনসহ ৪ জন
** খালেদাকে দেখতে ৪ ‘স্বজন’ কারাফটকে