শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, নির্জন কারাবাস বলতে যা বোঝায়, ম্যাডামকে তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
** খালেদার সাক্ষাতের অনুমতি পেলেন আইনজীবীরা
‘সাধারণ কয়েদীদের যা খেতে দেওয়া হয়, খালেদাকেও তা-ই দেওয়া হয়েছে, যা প্রায় অখাদ্য। ’
বিএনপির এ নেতা বলেন, যে গৃহ পরিচারিকাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে, যাকে ছাড়া ম্যাডাম ১৫-২০ বছর চলতে পারেন না, সেই ফাতেমাকেও এখনো থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা সরকারেরই দেখা দরকার।
এ বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান ব্যারিস্টার মওদুদ।
তিনি বলেন, রায়ের কপি পেলে সোম বা মঙ্গলবার আপিল করবো। খালেদা জিয়া অসুস্থ। হাঁটুর ব্যথায় একা একা কষ্ট পাচ্ছেন। অথচ ডিভিশন দেওয়া হয়েছে বলে প্রপাগান্ডা করা হচ্ছে।
‘আইন অনুযায়ী তিন ক্যাটাগারিতে তিনি ডিভিশন পান। দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন, একটি দলের প্রধান। অথচ তাকে সাধারণ কয়েদীর মতো রাখা হয়েছে। একদম নির্জন এক সেলে। সম্পূর্ণ একা,’ বলেন মওদুদ।
এর আগে বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে কারাগারেরে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়ার পাঁচ আইনজীবীকে। বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে সেখান থেকে বের হন তারা।
এদিকে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় ডিভিশন দেওয়ার আবেদন শনিবারও জমা দিতে পারেননি তার আইনজীবীরা। ছুটিদর দিন হওয়ায় কারা অধিদফতরের কর্মকর্তারা সে আবেদন গ্রহণ করেননি বলে জানান তার আইনজীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ আবেদন নিয়ে রোববার ফের কারা অধিদফতরে যাওয়া হবে। এর আগে সকালে ডিভিশন আবেদন নিয়ে কারাফটকে যান ব্যারিস্টার এহসানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি আইনজীবী প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপরই তাকে রাখা হয়েছে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
একই মামলায় ১০ বছরের দণ্ড পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮/আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা
আরএম/এমএ/