বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে অনশন কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধের নির্দেশ আসলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুপুর ১টায় কর্মসূচি শেষ করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমদের কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিলো।
এ সময় খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহবানও জানান বিএনপি’র মহাসচিব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিলো তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য সমবেত হয়েছিলাম। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে জেল দিয়ে আবার তারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। আমরা বলতে চাই তা হতে দেওয়া হবে না। আপনারা আগুনে হাত দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছেন এদেশের জনগণ তার প্রতিবাদ করবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এই রায় মানি না। এই রায় জনগণের রায় না। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে দূর্বল করার রায়। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করবো। আর এদেশে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য আন্দোলন করে যাবো।
খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার রায় এটা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মানচিত্রকে খেয়ে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। খালেদা জিয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিভিশন দেওয়ার কথা থাকলেও, তখন তারা দিলেন না। যারা ডিভিশন দেন নাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হোক।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আব্বাস বলেন, উচ্ছ্বংখল-বিশৃঙ্খল লোক দিয়ে আন্দোলন হবে না। নেত্রী আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাবো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করে আনবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
আরএম/এমএসি/এএম/জিপি