আপিল আবেদনের ফটোকপি, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন এবং যে কোর্টে শুনানি করবেন সেই কোর্ট নির্ধারণ করতে পারলেই মঙ্গলবার আইনজীবীরা আপিল আবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে পারবেন।
যদি খালেদার আপিল আবেদন আইনজীবীরা মঙ্গলবার উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে, আগামী বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে মনে করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখন আমাদের পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন কী করবেন।
এদিকে আপিলের প্রস্তুতি নিয়ে এবং কোন কোর্টে যাবেন সে বিষয় নির্ধারণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
দীর্ঘ ১১ দিন পর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। রায়ের কপি নিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলও।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে এ অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই অনুলিপি নেন।
রায়ের দিন আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েন। সোমবার যে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে তা ১১৭৪ পৃষ্ঠার।
সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
ইএস/জেডএস