তিনি বলেন, তারা (সরকার) দেশের অর্থনীতি নষ্ট করে ফেলেছে, দেশের ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আসুন, আর কাল-বিলম্ব না করে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেয়ারপারসনকে মুক্ত করি, জনগণের অধিকার, স্বাধীন দেশে বসবাসের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে যাতে জাতীয়তাবাদী শক্তি অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য সরকার চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন তার নেতৃত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সেজন্য সরকার তাকে মিথ্যা ও জাল জালিয়াতের মামলায় সাজা দিয়ে পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার।
তিনি বলেন, যিনি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই নেত্রীকে আজকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ, অনৈতিক সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করেছে। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া, জাতীয়তাবাদী দল এবং ২০দল যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য এই চক্রান্ত। আমাদের মনে রাখতে হবে একটা ফ্যাসিস্ট শক্তি ও দেশের স্বাধীনতা ধ্বংসকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে এখন নেমে আসতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করতে হবে।
একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে জানিয়ে তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এএম/এসএইচ