তিনি বলেছেন, এখন সুযোগ শুধু সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করা। সেজন্য আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে ভোটের দাবি আদায় করবো।
শনিবার (০৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি ও জনগণকে দুর্বল করা যাবে না। সামনের দিনে ভোটের ফলাফল পাল্টানো যাবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে। আগামী দিনে খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে।
জনপ্রিয়তায় সরকার ভীত এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে, আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সরকার তাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, খালেদা জিয়া আপোসহীন। তিনি সংবিধান অনুযায়ী ২৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। কখনো পরাজিত হন নি। তিনি আগামী দিনের নির্বাচনে জনগণের ভোটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া তার স্বামীর নামে গঠিত ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন এটাও দেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ এ টাকা ব্যবহার বা ব্যাংক হিসেবে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি বাদী পক্ষ খালেদা জিয়া জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে নি।
নজরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া যদি বলতেন কোনো কাজে তার ২ কোটি টাকা লাগবে, তাহলে বিএনপি অফিসের সামনে দু'টি বাক্স রাখলে ১ ঘণ্টায় তার চেয়ে বেশি টাকা জমা হতো। আসলে টাকা আত্মসাৎ কিছু নয়, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা এক এগারোতে শুনেছি বাক্স করে ৩ কোটি টাকা আর চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসবের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অথচ সেসব মামলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনটা নিজেদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ করে খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে দায়ের হওয়া মামলাগুলো চলমান রেখেছে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩,২০১৮
এএম/জেডএস