রোববার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি নেত্রী খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়া বিচার বিভাগের কাজ।
খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার কারাবাসের পেছনে রয়েছে রাজনীতির চক্রান্ত। আমরা বার বার বলছি, এটা বিচারিক কোনে রায় নয়। এটা হচ্ছে রাজনীতিক চক্রান্ত। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণের পেছনে তাদের এই চক্রান্ত। তারপরও যদি কেউ বলে ওনার (খালেদা) জেলে যাওয়া আইনের বিষয়, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এই কথা কি দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে একজনও বিশ্বাস করে? এই কথাটা কি আওয়ামী লীগের যারা সমর্থক তারা বিশ্বাস করেন? যিনি একথা বলছেন উনি কি বিশ্বাস করেন। সুতরাং যে কথা নিজে বিশ্বাস করেন না, সে কথা জনগণের সামনে বললে, জনগণ কিভাবে বিশ্বাস করবে? আসলে সমস্যাটা হলো তারা জনগণ থেকে এত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে, জনগণ তাদের কথা গ্রহণ করছে না, সেটাও বুঝতে তাদের কষ্ট হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ তাদের কোনো কথা জনগণ বিশ্বাস করছে না। তাদের একটাই পথ খালেদা জিয়াকে জেলের মধ্যে রেখে, এখন থেকে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনের যে স্পেসটা আছে এটাকে সংকুচিত করতে করতে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যে, যাতে করে বিএনপি আর নির্বাচন করতে না পারে। যাতে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে। যাতে দেশের মানুষ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে।
খালেদা জিয়া-শামসুজ্জামান দুদুসহ সবার রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন হাজারী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান মিঞা সম্রাট, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. নেসারুল হক, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘন্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
এমএইচ/এএটি