বুধবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৮ সিনিয়র নেতা খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি নেতাকর্মীদের জন্য এ বার্তা দেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নেত্রী সাহসিকতার সঙ্গে সব কিছুই মোকাবেলা করছেন।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিষয়ে মহাসচিব বলেন, তারা (পুলিশ) আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছে। খালেদা জিয়া এ ধরনের উস্কানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেছেন।
মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়ারকে কারাগারে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জামিন ঠেকাতে সরকার নানা ধরনের কূটকৌশল করেছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনিভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেব।
ফখরুল আরও বলেন, নেত্রী কারাগারে থাকায় যৌথ নেতৃত্বে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
এসময় এক প্রশ্নে জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলানিউজেক বলেন, ১২ মার্চের জনসভার জন্য নেত্রী আমাদের অনেক দিক নিদের্শনা দিয়েছেন এবং সব কিছুই শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অফিস কক্ষে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিএনপির সিনিয়র ৮ নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।
এর আগে ৬ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমানের কাছে এ ১০ নেতার তালিকা দেন।
ফখরুল ছাড়াও তালিকায় ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের নাম।
পরে অনুমতিক্রমে ভেতরে প্রবেশ করেন- মির্জা ফখরুল, ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ, জমিরউদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু ও আব্দুস সাত্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এজেডএস/জিপি