ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রতিফলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রতিফলন

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের একটি প্রতিফলন। যদিও অনেক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা এই নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা চেষ্টা করেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে পারেন নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ) আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মওদুদ বলেন, বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা একেবারে শূন্যের কোঠায়। যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মাত্র ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর বিএনপি পেয়েছে ৭৫ শতাংশ। আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি এরকম সুষ্ঠু হয় তবে তার ফলাফলও একই দাঁড়াবে। আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সংগঠন এই সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। আর প্রত্যেক আইনজীবী একেকজন সচেতন ও চিন্তাশীল মানুষ। তারা রাষ্ট্রের সব ধরনের মানুষের বক্তব্য জানেন। তাই তাদের ভোট অবশ্যই জনগণের মতামতের প্রতিরূপ।  

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও জনগণ তার ফলাফল পায়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, সরকার বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তার ছোঁয়া জনগণ এখনো পায়নি। যে কারণে জনগণ এ সাফল্যে সম্পৃক্ত হতে চায় না। তাই বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সাধারণ জনগণের পরিবর্তে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লোকজনদেরকে নিয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে সরকার।  

‘দেশ উন্নয়নের কাজে যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তারা হলেন কৃষক, গার্মেন্টস কর্মী ও বিদেশে গিয়ে যারা পরিশ্রম করে রেমিটেন্সের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের এই তিন খাতের লোকজনের জন্য কোনো পরিকল্পনা বা তাদেরকে উন্নয়নের শামিল করার কোনো অবদান নেই। এছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই সাফল্য আরো ৫ থেকে ৭ বছর আগেই আসতো’।

৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর হবে না উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সরকার সমঝোতায় না এলে রাজপথে আন্দোলন ছাড়া আমাদের বিকল্প কোনো পথ থাকবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন এদেশে অনুষ্ঠিত হবে না। তিনি যতো বেশি দিন কারাগারে থাকছেন তার জনপ্রিয়তা ততো বেশি বাড়ছে। সরকার এ বিষয়টাকে ভয় পাচ্ছে তাই তাকে মুক্তি দিতে বিলম্ব করছে। এ কারণেই তার ওকালতনামা দেওয়া হচ্ছে না। এই ভয়ের কারণে তারা বিএনপিকে নিষ্পেষিত করে রাখছে।

জিনাফ’র সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কে এ জামান, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, আব্দুস সালাম, এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইদুর রহমান তামান্না, শরীফুল ইসলাম আউয়াল, মূসা ফরাজী, ফরিদ উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।  

সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতৃত্বে ফের বিএনপির জয়নুল-খোকন

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।