বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে মঙ্গলবার(৩ এপ্রিল) চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) ১০ মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কালন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর পরিপেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, রাজকোষ কেলেঙ্কারিসহ সমস্ত ব্যাংক লুট করে ফোকলা করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেনেও তার প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিদেশী রেমিট্যান্সে ধস নেমেছে। দুঃশাসনের কবলে পড়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করছে এমনকি রফতানি আয় কমছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে উন্নয়নের নামে দেশজুড়ে হরিলুট চলছে।
গ্লোবাল কম্পোজিটিভ ইনডেক্সের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে এশিয়ার মধ্যে নেপালের পরেই সবচেয়ে খারাপ সড়ক ব্যবস্থা বাংলাদেশে। তারপরও তারা জিডিপির প্রবৃদ্ধির নামে চাপাবাজি করছে।
রিজভী বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি বিরাট দুর্নীতি ও চুরির মহাবিদ্যালয়। যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের শিক্ষা দেয়া হয়। চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা তা একমাত্র আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে। আর এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা জালিয়াতির নথির মাধ্যমে বানোয়াট মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে। কিন্তু এতে সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৭৩ বছর বয়ষ্ক এই জাতীয় নেত্রীর প্রকৃত শারীরিক অবস্থা কি তা আমরা জানিনা। তার মুক্তি নিয়ে যে তালবাহানা শুরু করেছেন তা বন্ধ করুন। বন্ধ না করলে কেউ হাত গুটিয়ে বসে থাকবেনা।
খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন এদেশে হবেনা। এটাই শেষ কথা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০দলীয় জোট এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে। অলি ভাই অনেক প্রোগ্রাম করছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সেল গঠন করা হয়েছে। তাদের কাজ প্রপাগান্ডা চালানো। আসন বন্টন নয় আগামী নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে ২০দলীয় জোট।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, কবির মুরাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এএম/এসএইচ