শুক্রবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা এ কথা জানান।
তিনি জানান, নিখোঁজের ১৯ দিন পর কক্সবাজারের রামুতে তার অবস্থান জানতে পেরে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাকে খুলনায় আনতে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে যায়।
বিএনপি নেতা নজরুল পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা দেনা হয়ে তার মাথা কাজ করছিলো না। তাই নিজেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রেখেছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সজিব খান, জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস, ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন প্রমুখ।
ওসি হাবিল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে নজরুলের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে শনিবার (৭ এপ্রিল) আদালতে হাজির করা হবে।
গত ১৭ মার্চ বিকেলে নজরুল ইসলাম মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়নের বেতাগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে আঠারো মাইল বাজারে যান। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করে তিনি যশোরের কেশবপুরের মঙ্গলকোট এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যান। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ডুমুরিয়া উপজেলার আটালিয়া এলাকায় একটি ভাড়া করা মোটরসাইকেল, চাবি ও টুপি পড়ে থাকতে দেখেন। নজরুলের সন্ধানে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুজি করেও নজরুলের সন্ধান না পাওয়ায় রাতে তার স্ত্রী তানজিলা বেগম ডুমুরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের পর থেকে পরিবার ও বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গুম করেছে।
তবে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে পুলিশ নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চালায়।
নিখোঁজের পর থেকে নজরুল ইসলামকে ফিরে পেতে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
** নিখোঁজ খুলনার বিএনপি নেতা নজরুল রামু থেকে উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
এমআরএম/এসআরএস