রোববার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখার প্রতিবাদে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপির মতো বড় একটি দলের সমাবেশ এই ছোট জায়গায় করা সম্ভব নয়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিলো। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর কারণে আসতে তিনি পারেননি। এ সময় তার (ফখরুল) মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ড. মোশাররফ।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া, ২০ দল ও বিএনপি নেতাদের বাইরে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চায় এই সরকার। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা ক্ষমতায় এসে শেয়ার বাজার লুট করে মানুষকে পথে বসিয়েছে। আজকে ১০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকায় মোটা চাল কিনতে হচ্ছে’।
ড. মোশাররফ বলেন, জনগণের ওপরে শেখ হাসিনার কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই সমাবেশে হাত উঁচিয়ে তিনি নৌকায় ভোট চান।
গণতন্ত্রের মুক্তি মানেই খালেদা জিয়ার মুক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। আজকে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে জনগণ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। সেজন্য শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। তাই আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া সেটা কি হতে পারে? এসময় জনগণ না সূচক উত্তর দেয়। তখন ড. মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কেউ জানতাম না, হঠাৎ করে একটা আন্দোলন হলো। আগামী দিনে গণতন্ত্রের আন্দোলন, জনগণের অধিকারের আন্দোলনও সেরকম হবে। জনগণ যখন রাস্তায় নামবে তখন তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সেই আন্দোলনে রাজশাহীবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ, যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমএইচ/এসএস/জেডএস