শনিবার (৫ মে) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রশ্ন করেন। সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবীরা বেরিয়ে কারাফটকে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
কারাগারে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
জয়নুল আবেদিন বলেন, আমি আগেও সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি বাঁ হাত নাড়াতে পারছেন না। কারাগারের পরিবেশে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া দরকার।
আগামী ৮ মে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেতে পারেন বলেও জানান জয়নুল আবেদিন। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদার সাজার বিষয়ে দুদকের আপিলের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
বিএনপি প্রধানের আইনজীবী জয়নুল আরও বলেন, খালেদা জিয়া তাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘আমিতো কোনেও অন্যায় করিনি, তাহলে আমার জামিন হচ্ছে না কেন? তখন আইনজীবীরা তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ৮ মে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাসহ অন্য সব মামলায় জামিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলেই তিনি মু্ক্তি পাবেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তখন থেকেই কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান। দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, কারাগারে খালেদা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। এর পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারামুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়াও চালিয়ে যাচ্ছেন দলের আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/