গত রোববার (৬ মে) আটক ১২ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার (৭ মে) তাদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়া ১২ আসামি হলেন- বিএনপি নেতা হাজী আব্দুস সামাদ (৬০), ফরিদ আহমেদ (৪০), আব্দুর রশিদ (৫৫), গাজী মোশারফ (৩০), সফি উল্লাহ খান (৫৫), আব্দুল্লাহ (৩৩), তৌহিদ ওরফে কাইয়ুম (৩২), আলাউদ্দিন স্বপন (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৯), সাব্বির আহমেদ (২৮), আজাদ হোসেন সোহেল (২৭) ও মাকসুদুর রহমান শাকিল (২৬)।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন রোববার বিকেলে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়ে গেলে টঙ্গী কলেজ গেট স্টার ওভেনের সামনে সড়কে একটি লেগুনায় অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বিএনপি-জামায়াতের ওই ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে রোববার রাতেই এ বিষয়ে মামলাটি দায়ের করেন টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন, জেলা বিএনপির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকার ও তার স্ত্রী, সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লি, কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, কাউন্সিলর সবদের হাসান, সফি উদ্দিন সফি, হেফাজত ইসলামের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন ও মুফতি মাসুদ। এছাড়াও টঙ্গী ও গাজীপুরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী, বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, ০৭ মে, ২০১৮
আরএস/এইচএ/