ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

খুলনার ডিআইজি ও কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৮
খুলনার ডিআইজি ও কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: খুলনার ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারের প্রত্যাহার দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুজব শোনা যাচ্ছে খুলনার নির্বাচনও স্থগিত করা হতে পারে।

বুধবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

যদিও অথেনটিক বলতে পারবো না, তবে খুলনার নির্বাচনও স্থগিত করার জন্য একটা রিট হতে পারে বলে শুনতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন খুলনা ও গাজীপুর সিটির নির্বাচন করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশে গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেছে। খুলনায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোনোমতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। গতকাল রাতেই ১৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখনও প্রতিবাদ করেছিলাম।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বার বার বলছে তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়, কিন্তু গাজীপুর ও খুলনায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনের কোনো যোগ্যতাই নেই নির্বাচন পরিচালনা করার।

ডিআইজির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন চলছে, প্রচারণা চলছে। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নাশকতার অভিযোগের মামলা দেয়া হচ্ছে। তাই আগেও বলেছি এখনও জোরের সঙ্গে বলছি ডিআইজি ও কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে।

এইচটি ইমাম এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে হাস্যকর কথা বলে এসেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা কমিশনে গিয়ে বলেছে খুলনায় নাকি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নাই। তারা রিটার্নিং অফিসারকে দায়ী করেছে।

যেখানে বিএনপির কমিশনার প্রার্থীদের পুলিশ ডেকে নিয়ে বলছে, তোমরা ধানের শীষে ভোট চাইতে পারবা না। আসলে তারা নির্বাচন স্থগিতের একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য কমিশনে গিয়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলছে।

এসব নির্বাচন ঘোষণা করার কী দরকার প্রশ্ন করে মহাসচিব বলেন, নির্বাচন-নির্বাচন এই খেলার কি প্রয়োজন বুঝতে পারছি না। পুলিশ এখন একটা পার্টির হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এতটুকু ক্ষমতা নেই যে পুলিশকে নিবৃত করে।

'আমরা মনে করি সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে নির্বাচন বাতিলের নীল নকশা করছে। তারা জাতীয় নির্বাচনও এভাবে একতরফাভাবে করতে চায়'।

এসব অভিযোগ জানাতে বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে বলেও তিনি জানান।

এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান,  নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।