বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় এ দু’টি আবেদন ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে রোববার (২০ মে) কুমিল্লার দুটি ও নড়াইলের একটি মামলায় জামিন আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। যেটি গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
কিন্তু তার আইনজীবীরা বলছেন, খালেদার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা রয়েছে যেগুলোতে জামিন পেলে কেবল তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি, নড়াইলে একটি রয়েছে। বাকিগুলো ঢাকার।
রোববার সকালে ছয়টির মধ্যে তিনটি মামলার জামিন আবেদনের হলফনামা করতে উক্ত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নেন তারা। এরপর সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরও ২০ জন। সেসব ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ৭ জুন দিন নির্ধারিত রয়েছে। পরে এ তারিখ এগিয়ে আনতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
অপরদিকে নড়াইলের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়।
২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত খবর পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ মামলায় ৮ মে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন নড়াইল সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/