সোমবার (০৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে বন্দি করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
প্রবীণ এ শ্রমিক নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি, শত্রু নয়। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্যপন্থায় যাবো। আর সে পন্থা হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা আইয়ুব ও ইয়াহিয়া খানকে পতন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ ও ১৯৮২ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিলো, তারা এক হয়েছে। তাদের পতন করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/