ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

খালেদা জিয়ার কারাবাসের চার মাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
খালেদা জিয়ার কারাবাসের চার মাস নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া

ঢাকা: পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় শুক্রবার (০৮ জুন) পর্যন্ত জেল খেটেছেন চার মাস।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরদিন থেকেই তার মুক্তির জন্য প্রতিদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে অনশন, অবস্থান এবং মিছিল সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।

কিন্তু বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা বলছেন, সহসাই তার মুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না।

আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের ২২৮ বছরের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৯জুন এ কারাগারের সব বন্দিকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরিত্যক্ত ওই কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে চার মাস ধরে জেল আছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

এ চার মাসের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কারাকর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে বাইরে আনা হয়নি। এমনকি জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বকশীবাজার বিশেষ আদালতেও তাকে হাজির করা হয়নি অসুস্থতার কথা বলে।

গত চার মাসে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে কারাগারে প্রচণ্ড অসুস্থ খালেদা জিয়া। তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন একতরফা করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা ও জাল নথি তৈরি করে সাজানো মামলায় তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার শিকার তিনি। গুরুতর অসুস্থ হলেও তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। যা অমানবিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। ’

এদিকে দলের সিনিয়র নেতারা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও এখন বলছেন, এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পারবেন না। তাকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতে হবে। তাদের ভাষায়, যেহেতু রাজনৈতিক কারণে তিনি জেলে আছেন। তাই তাকে রাজনৈতিকভাবেই মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও কথা বলছেন।

গত ৫ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমি একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম। তাই তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি বলতে পারি, জীবিত খালেদা জিয়াকে এ সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দেবে না।

কারা সূত্রে জানা গেছে, বিটিভি দেখে, পত্রিকা পড়ে ও নামাজ-রোজা করে কারাগারে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীতো কয়েকদিন আগে বলেছেন ছাড়ার জন্যতো ধরিনি। তাদের কর্মকাণ্ডেতো মনে হয় না, তিনি (খালেদা জিয়া) শিগগিরই মুক্তি পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।