শুক্রবার (৮ জুন) রাত সোয়া ৮টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার আত্মীয়রা শুক্রবার তার সঙ্গে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন।
রিজভী বলেন, খালেদার আত্মীয়রা জানিয়েছেন গত ৫ জুন নেত্রী দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তিন সপ্তাহ ধরে ভীষণ জ্বরে ভুগছেন। চিকিৎসা বিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক)। দেশনেত্রীর পা দুটো ফুলে আছে এবং তিনি তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে আমি যে কথাগুলি বললাম তা সম্পূর্ণরুপে সত্য। তার অসুস্থতা নিয়ে ইতোপূর্বেও যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ হলে তার স্বাস্থ্যের এতোটা অবনতি হতো না।
অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে দেশনেত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২১ মে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবরে আবেদন করেছিলেন দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চারজন চিকিৎসককে কারাগারে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া দেয়নি। এতে মনে হয় সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র দেশনেত্রীকে নিয়ে কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
এমএইচ/এএটি