শনিবার (৯ জুন) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতে তারা বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার তার সঙ্গে দেখা করে জানতে পারেন যে- তিনি গত ৫ জুন মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন এবং দুই সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছেন। কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি উদাসীন।
এ চিকিৎসকেরা বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। প্রতিরাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। কাশি ও জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ডান চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে। সার্ভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস রোগের ভয়াবহতার কারণে বাম হাত ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোমরের সমস্যার কারণে শরীরের বাম পাশ ও বাম পায়ের তীব্র ব্যথা ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। তিনি হাঁটা-চলাও করতে পারছেন না।
তারা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে তাকে সুচিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসাপাতালে স্থানান্তরের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক মবিন খান, অধ্যাপক বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান মিয়া, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক মতিউর রহমান মোল্লা, অধ্যাপক এ এস এম এ রায়হান, অধ্যাপক ফিরোজা বেগম, অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক খাদিজা বেগম, অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মঈনুল হাসান সাদিক, অধ্যাপক আজিজ রহিম, অধ্যাপক রফিকুল কবির লাবু, অধ্যাপক হরুন অর রশিদ, আব্দুস সালাম, অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেন, অধ্যাপক শামিমুর রহমান, অধ্যাপক গোলাম মঈনউদ্দিন, অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, অধ্যাপক সেলিনা খানম, অধ্যাপক মনির হোসেন, অধ্যাপক তসলিম উদ্দিনম, অধ্যাপক সেলিমুজ্জামান, অধ্যাপক চৌধুরী মো. হায়দার আলী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদাকে রাখার পর থেকেই বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করে কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/