শনিবার (১৬ জুন) শেরে-বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রীকে সরকার মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কাছে এখন মূল চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
কারাগারে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় সরকারের অবহেলার সমালোচনা করে অবিলম্বে তার মুক্তি ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ফের দাবি জানান ফখরুল।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে-বাংলা নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ফাতেহা পাঠ করেন।
এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানুউল্লাহ হাসান, শায়রুল কবির খান, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মামুনুর রশীদ মামুন, আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছর ঈদের দিন কূটনৈতিক ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। এরপর তিনি যেতেন বনানীতে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতে। এবার তিনি কারাগারে থাকায় এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস